টুকরো কথার ঝাঁপি
কথার পিঠে জমে ওঠে একশো রকম কথা সুখ দুঃখ আনন্দ আর হাজার খানেক ব্যথা | এসব শুধু এসব দিয়েই জীবন যদি মাপি ভরবে উঠে ভাংগা চোড়া টুকরো কথার ঝাঁপি |
About Me
- Name: Nirmalya Nag
- Location: Kolkata (Calcutta), West Bengal, India
I am one who takes life neither too seriously nor too lightly, always treading the middle path,as was advised by Lord Gautama Buddha.
Friday, October 23, 2009
দরজাটা খুলে রাখি কখন সে এসে যায়
এলোমেলো ঘুরে ঘুরে
পথ খুঁজে দোরে দোরে
কিছুতেই কোন ভাবে ফিরে যেন সে না যায়
দরজাটা খুলে রাখি কখন সে এসে যায়
ভুলে গেছি কোন যুগে শেষ দেখা হয়েছিল
কেটে গেছে বহু কাল
কত ঋতু কত সাল
তারা ভরা এক রাতে দুটি চোখ মিলেছিল
এখন আর মনভারে লাভ কিছু নেই আর
মুখে হাসি ভরে রাখি
দুই চোখে খুশী আঁকি
ঢেকে রাখি ব্যথা যত পুরোন এ পাঁজরায়
মৃদু পায় ধীরে ধীরে আসবে সে এ ঘরে
একটা কি দুটো কথা
চুপ করে চেয়ে থাকা
শূণ্যতা ছেয়ে যাবে অদ্ভুত এ বাসরে
তবুও এ সাদা কালো ভরে রং-এ যেন যায়
হোক মিছে এই জাঁক
তার বুক ভরে যাক
এই টুকু আশা শুধু ফিরে যেন সে না যায়
দরজাটা খুলে রাখি কখন সে এসে যায়
একালদর্শী
গুরুজী বললেন, কলিযুগের এ বড় সুসময়। দেখছিস না, শকুনের শাপে পাল পাল গরু কেমন ধুপধাপ ধুপধাপ করে মরে যাচ্ছে। বাবার বচনামৃত আকন্ঠ পান করে ভক্তরা জানাল, সত্যিই এ বড় সুসময় প্রভু।
গুরুজীর গলায় মধু ঝরল, শুধু শুধু চোখ খোলা রেখে তাকে কষ্ট দিস কেন? কৃষ্ণের জীবকে কষ্ট দেওয়া মহা পাপ। সময় বুঝে চোখ বন্ধ রেখে তাকে বিশ্রাম দিবি। তোদেরও মঙ্গল হবে, জগৎও অশান্ত হবে না। ভক্তরা চোখ বন্ধ করল, বড় ভুল হয়ে গেছে প্রভু।
অভয় দিয়ে গুরুজী বললেন, বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। এ মায়াময় পৃথিবীতে সুখ সকলের জন্য নয়। তাই তাকে শৃগালের দ্রাক্ষাফল স্বরূপ জ্ঞান করলেই মুক্তি নিশ্চিৎ। ভক্তরা দিব্যজ্ঞানলাভে ধন্য হয়ে প্রভুর পদধূলির জন্য আকুল হয়ে উঠল।
তাদের প্রতি পাদপদ্ম নিবেদন করে গুরুজী চোখ বন্ধ করলেন বিশ্রামের উদ্দেশ্যে। প্রভুর নামে জয়ধ্বনি উঠল।
Friday, March 09, 2007
গড্ডলিকা
তারপর স্রোতহীন শাখানদীর জলে
পা ডুবিয়ে শরীর স্নিগ্ধ করার
অনেককালের ইচ্ছে মিটিয়ে নেওয়া
তারপর পয়ারের সুরে সুরে
দুকূল ছাপানো হৃদয় ক্ষরণে
সুনাব্য হাত হাতের ওপর রাখা
তারপর জল-সইকে সামনে রেখে
সোনালী দুপুরের নির্মল ধুলোস্নান
সেরে পায়ের তলায় পথ রেখে বাড়ি
তারপর চোখ মেলে চোখ মেলে
নাগালে থাকা পরিচিত জনমনের
দূরে আরও দূরে সরে যাওয়া দেখা
তারপর স্বপ্নের আকাশের দিকে
দূরবীন-চোখ তুলে এক অনন্ত
প্রশ্নচিহ্নের দিকে তাকিয়ে থাকা
তারপর প্রবাহের পথে
তারপর প্রবাহের পথে
তারপর প্রবাহের পথে……
পা ডুবিয়ে শরীর স্নিগ্ধ করার
অনেককালের ইচ্ছে মিটিয়ে নেওয়া
তারপর পয়ারের সুরে সুরে
দুকূল ছাপানো হৃদয় ক্ষরণে
সুনাব্য হাত হাতের ওপর রাখা
তারপর জল-সইকে সামনে রেখে
সোনালী দুপুরের নির্মল ধুলোস্নান
সেরে পায়ের তলায় পথ রেখে বাড়ি
তারপর চোখ মেলে চোখ মেলে
নাগালে থাকা পরিচিত জনমনের
দূরে আরও দূরে সরে যাওয়া দেখা
তারপর স্বপ্নের আকাশের দিকে
দূরবীন-চোখ তুলে এক অনন্ত
প্রশ্নচিহ্নের দিকে তাকিয়ে থাকা
তারপর প্রবাহের পথে
তারপর প্রবাহের পথে
তারপর প্রবাহের পথে……
অন্যরকম সম্পর্ক
চনমনে রোদ উঠলে তার সঙ্গে দেখা হবে
বলে কত দিন থেকে বসে আছি।
ছেঁড়া খাম, পুরনো টাইপ করা দরখাস্ত,
আরও বেশ কিছু এলোমেলো জিনিস
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছি ঘরময়
কেউ দিদির মত গুছিয়ে দেবে বলে।
কচি কান্নার শব্দে খিদে তেষ্টা
মা কি করে বুঝে যায় বোঝা যায় না।
তেমনি করে একটা দুটো তিনটে
আলো সেলাই করে
রোদের চাদর বোনা হবে….
উষ্ণ আরামে বুঝতে দেরী হবে
মায়ের মত ঘুমের শরীরে
চাদর জড়িয়ে দিল কে!
তার বুকের ভেতর রোদ উঠলে
তার সঙ্গে দেখা হবে বলে
কত দিন থেকে বসে আছি।
বলে কত দিন থেকে বসে আছি।
ছেঁড়া খাম, পুরনো টাইপ করা দরখাস্ত,
আরও বেশ কিছু এলোমেলো জিনিস
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছি ঘরময়
কেউ দিদির মত গুছিয়ে দেবে বলে।
কচি কান্নার শব্দে খিদে তেষ্টা
মা কি করে বুঝে যায় বোঝা যায় না।
তেমনি করে একটা দুটো তিনটে
আলো সেলাই করে
রোদের চাদর বোনা হবে….
উষ্ণ আরামে বুঝতে দেরী হবে
মায়ের মত ঘুমের শরীরে
চাদর জড়িয়ে দিল কে!
তার বুকের ভেতর রোদ উঠলে
তার সঙ্গে দেখা হবে বলে
কত দিন থেকে বসে আছি।
আজ বসন্ত
এসো
আমরা সূর্জটাকে টুকরো টুকরো করে
ছড়িয়ে দিই আকাশের গায়ে
দেখো
ওরা তারা হয়েই জ্বলবে।
এসো
আমরা মুঠোভরা আকাশের তারা
ছড়িয়ে দিই গাছের ডালে ডালে
দেখো
ওরা ফুল হয়েই ফুটবে।
এসো
আমরা সাজিভরা নানা ফুলের তোড়া
ছড়িয়ে দিই সবুজ ঘাসের গালিচায়
দেখো
ওরা শিশু হয়েই হাঁটবে।
আমরা সূর্জটাকে টুকরো টুকরো করে
ছড়িয়ে দিই আকাশের গায়ে
দেখো
ওরা তারা হয়েই জ্বলবে।
এসো
আমরা মুঠোভরা আকাশের তারা
ছড়িয়ে দিই গাছের ডালে ডালে
দেখো
ওরা ফুল হয়েই ফুটবে।
এসো
আমরা সাজিভরা নানা ফুলের তোড়া
ছড়িয়ে দিই সবুজ ঘাসের গালিচায়
দেখো
ওরা শিশু হয়েই হাঁটবে।
হৃদয়পুর রেল স্টেশন
লাল সবুজ আলো, ভেবে দেখো একবার –
এখন কলসির বোঝায় তার
টলমল পায়ে অসহ্য ঢেউ ওঠে।
কাঁটা ওঠে ফুটে
যখন ফোঁটায় ফোঁটায় জল
চুঁইয়ে পড়ে এই সবল
কঠিন পৃথিবীতে,
তার মনে পড়ে, ও পাড়ের গ্রামের বটতলাতে
যে পুকুর ছিল – রং সবুজ –
সন্ধের মুখে যেখানে সেই অবুঝ
ছেলেটা প্রতিদিন ঠিক গোধুলিতে
এসে দাঁড়াত দুটো পেয়ারা হাতে,
তার জল ছিল মায়ের মত মিঠে।
লাল সবুজ আলো, দেখো চারদিকে চেয়ে –
সাতাশ বসন্তের মেয়ে
বটের পাতার মত বুক
দিয়ে ঢেকে রাখে পুরোন কিছু সজীবতার সুখ।
আর তার দুপায়ে বালির ফাঁকে
চোরাকাঁটা রক্ত ঝরায়, একা ফাঁকা পুকুরঘাটে
নোনতা স্বাদ জেগে ওঠে
টলটলে চোখ থেকে সাগর নামে ঠোঁটে।
সময় ছুটে যায় সবুজ মায়ায়,
আর জীবন থমকে থামে লালের খেলায়।
রেলপাড় বস্তিতে গোপন খদ্দের বসে থাকে...
এখন কলসির বোঝায় তার
টলমল পায়ে অসহ্য ঢেউ ওঠে।
কাঁটা ওঠে ফুটে
যখন ফোঁটায় ফোঁটায় জল
চুঁইয়ে পড়ে এই সবল
কঠিন পৃথিবীতে,
তার মনে পড়ে, ও পাড়ের গ্রামের বটতলাতে
যে পুকুর ছিল – রং সবুজ –
সন্ধের মুখে যেখানে সেই অবুঝ
ছেলেটা প্রতিদিন ঠিক গোধুলিতে
এসে দাঁড়াত দুটো পেয়ারা হাতে,
তার জল ছিল মায়ের মত মিঠে।
লাল সবুজ আলো, দেখো চারদিকে চেয়ে –
সাতাশ বসন্তের মেয়ে
বটের পাতার মত বুক
দিয়ে ঢেকে রাখে পুরোন কিছু সজীবতার সুখ।
আর তার দুপায়ে বালির ফাঁকে
চোরাকাঁটা রক্ত ঝরায়, একা ফাঁকা পুকুরঘাটে
নোনতা স্বাদ জেগে ওঠে
টলটলে চোখ থেকে সাগর নামে ঠোঁটে।
সময় ছুটে যায় সবুজ মায়ায়,
আর জীবন থমকে থামে লালের খেলায়।
রেলপাড় বস্তিতে গোপন খদ্দের বসে থাকে...
আমাদের জন্য
এক
আমার যদি থাকত অনেক
আমি তোমায় অনেক দিতাম
থাকত অতি অল্প কিছু
হিসেব কষেও সবই দিতাম
আছে কেবল ভিক্ষাপাত্র
তাই-ই সামনে বাড়িয়ে দিলাম।
দুই
যখন তুমি ছিলে না,
তোমার থাকা ছিল আমার
লাল টুকটুক উড়ছে ঘুড়ি।
এখন তুমি আছ বলে
ভয়ে ভীষণ ভয়ে
ঘুড়ির পায়ে বাঁধছি বসে
মস্ত বড় লোহার বেড়ি।
তিন
এ দুঃখের সুখ তো ওরা পায়নি
ওরা বুঝবে না।
মুখ টিপে ঠোঁট টিপে হাসবে।
ওরা জানলোই না
জীবনে কি অদ্ভুত ফাঁক থেকে গেল।
তোমার রাগের যোগ্যই নয়,
ওদের ক্ষমা কর।
চার
আমায় যতবার না বলেছো
আমি ততবারই তা এঁকে রেখেছি আকাশে।
এখন গোটা রাতের আকাশ ছেয়ে গেছে।
তাকিয়ে দেখো,
তোমার চারদিক ঘিরে
তারারা একসাথে তোমাকেই না-না বলে চলেছে।
পাঁচ
ভীষণ রোদ্দুর।
তোমাকে ছায়া দেব বলে
কাছে ডেকেছিলাম।
পাশে এসে
নিজেই ছায়া হলে কেন?
ছয়
একদিন আগুনের পাশে
ঘিয়ের পাত্র উলটে পড়েছিল,
আজকে প্রদীপ গেছে জ্বলে
আমার কি দোষ আছে বল?
সাত
পিছন থেকে আলতো করে
চোখের পাতায় দুহাত রেখে
প্রশ্ন তোমার, এই, বলতো আমি কে?
ভাবছ নাকি বোকা আমায়,
ফেলব ধরে আমি তোমায়,
কখনো না, সময় আছে থমকে যে।
আমার যদি থাকত অনেক
আমি তোমায় অনেক দিতাম
থাকত অতি অল্প কিছু
হিসেব কষেও সবই দিতাম
আছে কেবল ভিক্ষাপাত্র
তাই-ই সামনে বাড়িয়ে দিলাম।
দুই
যখন তুমি ছিলে না,
তোমার থাকা ছিল আমার
লাল টুকটুক উড়ছে ঘুড়ি।
এখন তুমি আছ বলে
ভয়ে ভীষণ ভয়ে
ঘুড়ির পায়ে বাঁধছি বসে
মস্ত বড় লোহার বেড়ি।
তিন
এ দুঃখের সুখ তো ওরা পায়নি
ওরা বুঝবে না।
মুখ টিপে ঠোঁট টিপে হাসবে।
ওরা জানলোই না
জীবনে কি অদ্ভুত ফাঁক থেকে গেল।
তোমার রাগের যোগ্যই নয়,
ওদের ক্ষমা কর।
চার
আমায় যতবার না বলেছো
আমি ততবারই তা এঁকে রেখেছি আকাশে।
এখন গোটা রাতের আকাশ ছেয়ে গেছে।
তাকিয়ে দেখো,
তোমার চারদিক ঘিরে
তারারা একসাথে তোমাকেই না-না বলে চলেছে।
পাঁচ
ভীষণ রোদ্দুর।
তোমাকে ছায়া দেব বলে
কাছে ডেকেছিলাম।
পাশে এসে
নিজেই ছায়া হলে কেন?
ছয়
একদিন আগুনের পাশে
ঘিয়ের পাত্র উলটে পড়েছিল,
আজকে প্রদীপ গেছে জ্বলে
আমার কি দোষ আছে বল?
সাত
পিছন থেকে আলতো করে
চোখের পাতায় দুহাত রেখে
প্রশ্ন তোমার, এই, বলতো আমি কে?
ভাবছ নাকি বোকা আমায়,
ফেলব ধরে আমি তোমায়,
কখনো না, সময় আছে থমকে যে।